অনলাইন ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না। বের হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবে না। আর অতি জরুরি প্রয়োজনের মধ্যে প্রজ্ঞাপনে ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা ও মৃতদেহ সৎকারের কথা বলা হয়েছে।
বিধিনিষেধ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা যেমন- কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ চলবে।
স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের জন্য বের হওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই টিকা নেয়ার কার্ড সঙ্গে থাকতে হবে।
ফার্মেসি ও ফার্মাসিটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা পত্রিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে বাইরে বের হতে পারবেন।
রাজস্ব আদায় বিষয়ে কাজ, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি) প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা নিজ নিজ পরিচয়পত্র দেখিয়ে চলাচল করতে পারবেন।
বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে গণমাধ্যম। বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক কর্মীরা লকডাউনে বের হতে পারবেন। তবে সেটি অবশ্যই নিজ নিজ পরিচয়পত্র দেখিয়ে।
যেহেতু শিল্পকারখানা খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে শিল্প শ্রমিক ও কর্মকর্তা, কর্মচারীরাও পরিচয়পত্র বহন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হলেও চালু থাকবে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল। এক্ষেত্রে বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের ভ্রমণ টিকেট দেখিয়ে গাড়ি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন।